বৌদিকে ধর্ষনের অভিযোগে গ্ৰেপ্তার দেওর জামালপুরে

14th January 2020 বর্ধমান
বৌদিকে ধর্ষনের অভিযোগে গ্ৰেপ্তার দেওর জামালপুরে


 

দাদার সঙ্গে ডিভোর্সের মামলা  চলাকালীন বৌদিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো দেওরের  বিরুদ্ধে । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি  ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানা এলাকায় ।  এই ঘটনা  বিষয়ে জামালপুর থানা অভিযোগ না নেওয়ায়   বর্ধমান  সিজেএম আদালতে মামলা দায়ের করেন বধূ ।  আদালতের নির্দেশে তদন্থে নেমে বর্ধমান  মহিলা থানার পুলিশ  সোমবার বর্ধমানের তিনকোনিয়া এলাকা থেকে  অভিযুক্ত দেওর  মুশা শরিফ কে গ্রেফতার করেছে । এদিনই পুলিশ ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে ।  ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেপাজতে  পাঠিয়ে  ২৭ জানুয়ারি পুনরায় আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা ।  পুলিশ এদিন বধূর গোপন জবানবন্দি  ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নথিভুক্ত করায় । একই সঙ্গে বধূর মেডিকেল 
পরীক্ষা করানোর আবেদন তদন্তকারী অফিসার আদালতে জানান । সেই আবেদন মঞ্জুর করে  সিজেএম  বর্ধমান  মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক স্টেট মেডিসিনের  বিভাগীয় প্রধানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দিয়েছেন । ধৃত মুশা শরিফ যদিও দাবি করেছে সে নির্দোষ।  তাঁর বৌদি  মিথা অভিযোগে তাঁকে ফাঁসিয়েছে । 

পুলিস সূত্রে জানাগেছে, বছর ২২ বয়সী বধূর বাবার বাড়ি মাধবডিহি থানার চকচন্দন গ্রামে । ২০১৭ সাল থেকে স্বামীর সঙ্গে তাঁর ডিভোর্স   ও খোরপোষের মামলা চলছে। বধূকে  খোরপোষ দেবার  জন্য আদালত  বধূর  স্বামীকে নির্দশ দিয়েছে।এতসব কিছুর পরেও   মিমাংশার জন্য বধূর বাবার বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন স্বামীর পরিবারের লোকজন । গত বছরের ৩০ অক্টোবর সকালে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে উভয়পক্ষ মীমাংসায় বসে ।আলোচনা ঠিক হয় গৃহবধূ তাঁর  স্বামীর সঙ্গে সংসার করবেন । মামলাও তুলে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। গৃহবধূকে ওইদিন তাঁর শ্বশুর বাড়িতে রেখে  বাবার বাড়ির লোকজন নিজেদের ফিরে যায়। এরপর সন্ধ্যায় গৃহবধূর শ্বশুর ও শাশুড়ি তাঁদের মেয়ের বাড়িতে ও  বধূর স্বামী তাঁর বোনের বাড়িতে চলেযান  ।  অভিযোগ সেই ফাঁকে বধূকে একা পেয়ে দেওর মুশা গৃহ বধূকে  ধর্ষণ করে । কাউকে কিছু জানালে খুনকরে দেবার হুমকিও দেওর  মুশা তাঁর বঁদিকে দেয় বলে অভিযোগ ।  বধূর বাবার বাড়ির পরিবার সদস্যদের বক্তব্য এই ঘটনা নিয়ে তাঁরা জামালপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন ।  কিন্তু থানা কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায়  বাধ্যহয়ে তারা বর্ধমান  আদালতে মামলা করেন । অবশেষে  অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ায় খুশি বধূ ও তাঁর বাবার বাড়ির সদস্যরা । 

ছবি প্রতীকী ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।